লালমনিরহাট জেলায় চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবারে আলু উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এমনিতেই এই জেলার মাটি ও আবহাওয়া আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছর এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে আলু উৎপাদিত হয়। এখানকার উৎপাদিত আলু স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে প্রতি বছর। অনুকুল আবহাওয়া এবং অন্যান্য ফসলের চেয়ে স্বল্প সময়ে আলু চাষ করে অধিক লাভবান হওয়ার ফলে এখানকার চাষীরা ধানের পর প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে আলু চাষেই অধিক মনোযোগী হয়। একদশক পূর্বেও এ অঞ্চলে এভাবে আলুর চাষ করতে পারতো না কৃষকরা। আগাম জাতের আলু চাষ করে অনেক কৃষক লাভবান হওয়ায় বর্তমানে কৃষকরা আলু চাষে ব্যাপক মনোযোগী হয়েছেন। ইতিপূর্বে এই এলাকার কৃষককুল নিয়মনীতি না মেনে সনাতন পদ্ধতিতে আলু চাষ করার ফলে তেমন লাভবান হতে পারেননি। বর্তমানে সঠিক নিয়মে উন্নত পদ্ধতি প্রয়োগ করে আগাম জাতের ধান চাষের পর আবার ওই জমিতেই আলুর চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। আলু চাষে প্রধান অন্তরায় ছিল কুয়াশা। বর্তমানে ব্যাপক হারে কুয়াশা শুরুর পূর্বেই আলু চাষ করা হচ্ছে। এ জন্য কুয়াশা তেমন একটা আলুর ক্ষতি করতে পারবে না। যে কারণে ধানের পরপরই আলুই এখন প্রধান অর্থকরি ফসলে পরিণত হয়েছে। আলু এখন এই এলাকার চাষীদের স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি মৌসুমে আলু চাষে কৃষকদের মনে উৎফুলতা দেখা দিয়েছে। ব্যাপক হারে আলু চাষে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন। গত বছরও লালমনিরহাটে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছিল। এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
আলু চাষের জন্য বিখ্যাত কয়েকটি গ্রাম সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধান কাটা মাড়াইয়ের পর আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ধানের জমি ফাকা করে ওই জমিতে ভালোভাবে জৈব সার ও রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক দিয়ে আলু রোপনের পর আগাম জাতের আলু কয়েক দিনের মধ্যে উত্তোলন শুরু করবেন বলে কৃষকরা আশা করছেন।